“কী রে বাবু আজ ছুটির দিন,এতো বেলা হয়ে গেল আমায় ফোন করলি না? আগে তো ঘুম থেকে উঠেই মা’কে খুঁজতিস? আজকাল কেমন যেন ছেড়ে ছেড়ে থাকিস,কী হয়েছে তোর?” নিজের মা প্রতিমা দেবীর কথায় কিছুটা হলেও মনঃকষ্ট টের পায় অয়ন।
“হ্যাঁ আসলে আজ উঠতে দেরি হয়ে গিয়েছিল।আর সৌরভ ও কাল বাড়ি চলে গেছে…মাসির বেলের আওয়াজে উঠে ওকে খাবারের কথা বলতে বলতে খেয়াল ছিলোনা আর।তারওপর মাসের প্রথম, রিচার্জ করা হয়নি বলে ইলেকট্রিক লাইন ডিসকানেক্ট করে দিয়েছিল সোসাইটি,সেখানে ফোন করলাম…সব মিলিয়ে…সরি মা”,অনুতপ্ত লাগে অয়নের গলা।
“দূর বোকা! মা কে কেউ সরি বলে?তা তোদের মাসি কী বানিয়ে দিয়ে গেল আজ?” প্রতিমা দেবীর মন আর্দ্র হয়ে যায় ছেলের গলার স্বরে।
“আজ তো রবিবার।মাসি তো ননভেজ রান্না করেনা।তাই এবেলার রুটি আর ছোলা বানিয়ে গেছে,আমি ওবেলা কিছু অর্ডার করে নেব।সৌরভ থাকলে চিকেন এনে বানায়,আমার একার জন্যে আর বানাতে ইচ্ছা হলোনা”,অয়ন সব বিস্তারিত বললেও ওর মায়ের কেন কে জানে ছেলের গলায় অন্যমনস্ক ভাব অনুভূত হলো।
“বাবু তুই আজকাল বড্ড অন্যমনস্ক থাকিস কেন রে?? অফিসে কোনো সমস্যা?আমায় তো আজকাল কিছুই বলিসনা,আর বুঝতে পারব না বলে জিজ্ঞেস ও করিনা।সেদিন ভিডিও কলেও তোকে বড্ড শুকনো লাগলো।মন খারাপ?”মায়ের মনকে চাইলেও হয়তো ফাঁকি দেওয়া যায়না।
“মা আমি সত্যি বড্ড বদলে যাচ্ছি।বিশ্বাস করো আমি বদলাতে চাইনা,কিন্তু দিনের শেষে গিয়ে প্রতিদিন আবার এক জায়গাতেই ফিরে যাই।ঠিক হয়ে যাবো আস্তে আস্তে।আসলে জীবনে অনেক লড়েছি, হেরেছি তাই কিছু পাবার আশা করিনি কখনো।এমনকি মোম যখন সম্পর্ক ভেঙে সরে গেল খারাপ লাগলেও মনে হয়েছিল ভালোই হলো,কারণ ওর এক্সপেক্টেশন বড্ড বেশি ছিল।আমি পাঁচ বছরের সম্পর্কে কখনো তা পূরণ করতে পারিনি।আর অনেকদিন ধরেই ও ইঙ্গিত দিয়েছিল ভবিষ্যতে সরে যাওয়ার।কিন্তু একদম নিজের মত একজনকে দেখলে বড্ড লোভ হয়…”,হঠাৎ সম্বিত পেয়ে থেমে যায় অয়ন।আসলে বরাবরই ও ওর মায়ের কাছে খোলা খাতা।কিন্তু এই প্রথম নিজের কোনো কিছু এড়িয়ে গিয়েছিল মা’কে।আসলে এটা তো ভিত্তিহীন আশা।কাউকে কী ভাবে বোঝাবে কেন ও বিষয়টা এভাবে গুরুত্ব দিয়ে ভেবেছিল।
“কিসের লোভ রে বাবু? কে পুরো তোর মত? মোম?” অবাক মা’কে কি বলবে ভাবতে থাকে ও।
“ছাড়ো মা।কিছু না।চলো খিদে পাচ্ছে।খেয়ে নি।ভাবছি সৌরভ ফিরলে আমিও কদিন তোমার কাছ থেকে ঘুরে আসবো।ভালো লাগছে না এখানে”,অয়ন মনের কথা লুকিয়ে যায়।নিজেরই আজকাল বিরক্ত লাগছে নিজের ওপর।বড্ড বাড়াবাড়ি করে ফেলছে লাস্ট তিনমাস ধরে।প্রথম কদিন এক অদ্ভুত ভালোলাগায় মন আচ্ছন্ন ছিল।তারপর শুরু হলো অপেক্ষা।কিন্তু আজকাল শুধুই বিরক্তি আসে।
“ঠিক আছে।যা খেয়ে নে।রাতে পারলে একবার ফোন করিস।আর তোর মামা তোর খোঁজ নিচ্ছিল,পরে সময় করে একবার ফোন করে নিস”,ছেলেটাকে আর ঘাঁটায় না প্রতিমা।
মায়ের ফোন কেটে কিছুক্ষন চুপচাপ বসে থাকে অয়ন।তারপর ঝেরেমেরে উঠে পড়ে।না আজ ভালো করে চান করে খেয়ে দুপুরে নেটফ্লিক্সে সিরিজ দেখতে হবে।
বড্ড বেশিকরে এক জায়গায় আটকে পড়ছে ও।এখান থেকে বেরোতেই হবে। একটা অবাস্তব কল্পনাকে ভিত্তি করে অনেক গুলো দিন নষ্ট হয়ে গেছে,আর না।এবার নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত হওয়ার সময় এসেছে।প্রথমে মোম,তারপর মানিনী নামের অপরিচিত ওই মেয়েটা,অনেকগুলো ইম্পরট্যান্ট দিন নষ্ট করে দিয়েছে ওর জীবনের।মোমেরটা তাও মানা যায় কিন্তু মানিনীর সাথে এক রাতের আলাপ,ওকে কি একটু বেশিই গুরুত্ব দেওয়া হয়ে যাচ্ছে না!!
ইন্ডাকশন ওভেনে গরম জল চাপিয়ে দাড়ি কাটার ট্রিমারে হাত দেয় ও।আজ একদম ফ্রেস হয়ে ভালো করে খেয়ে ছুটির দিনটা এনজয় করতে হবে।সৌরভও রেগে আছে সেই রাতের পর থেকে,ও ফিরলে যেন পুরোনো অয়নকে পায় সেটা খেয়াল রাখতে হবে।ল্যাপটপে ওর প্রিয় মিউজিক অ্যালবামটা চালিয়ে গুনগুন করতে করতে মন দিয়ে সেভ করতে থাকে ও।
সবে একটা গাল পরিষ্কার করে আরেকটায় হাত ছোঁয়াতে যাবে ফোনটা ভাইব্রেট করতে থাকে।আড়চোখে অচেনা নম্বর দেখে বুঝতে পারে নিশ্চই কোনো ক্রেডিট কার্ড সেলারের ফোন।ছুটির দিন মানেই ওদের উৎপাত,নাহলে পার্সোনাল লোন।শালা লাগবে না আমার কোনো কার্ড বা লোন।ফোন থেকে নজর সরিয়ে নিজের দাড়ি কাটায় মন দেয় ও।ফোনটা বাজতে বাজতে থেমে যায়,ফ্ল্যাটের ঘরে শুধু অয়নের গুনগুনানী ভাসতে থাকে।
“আরে মেয়েটাকে ডাকো এবার।বেলা হলো খেয়ে নিক।তুমিও খেয়ে নাও।আমি তোমাদের খেতে দিয়ে স্নানে যাবো।আমার সময় লাগবে আজ”,শোভনা চিকেনটা কড়াই থেকে স্টিলের ডেকচি তে ঢালতে ঢালতে বললো।আজ অনেকদিন পর মন দিয়ে মাংস রান্না করেছে মানি এসেছে বলে।অফিস জয়েন করার পর এই প্রথম এলো মেয়েটা।দেখেই বুঝতে পারা যাচ্ছে ঠিকঠাক খাওয়া হচ্ছে না।হবেই বা কীকরে! পিজির ওই অবাঙালী খাবার কি বাঙালি মাছ খাওয়া মানুষের মুখে রোচে! কত করে বলেছিল ওরা ওদের কাছে থাকতে কিছুতেই শুনলো না মেয়ে।
“কেন তুমি চান করে এসো, তারপর তিনজন একসাথে জমিয়ে খাবো।আমি ততক্ষণ স্যালাড বানাই একটু।সবে তো একটা বাজে”,দীপক টিভির দিকে তাকিয়ে কথা গুলো বলে,কিন্তু নাসারন্ধ মাংসের গন্ধ পেয়ে পেটে উত্তেজনা তৈরি করে দিয়েছে ইতিমধ্যেই।
“বোকো না তো।মেয়েটার মুখ দেখে বুঝতে পারছো না খাওয়ার ঠিক নেই।বাঙালি মেয়ে,জীবনে প্রথম বাড়ির বাইরে এসেছে,ওই ছোলে চাউল খেয়ে কি পেট ভরে?ওকে আর বেলা করিও না।আমি শ্যাম্পু করবো দেরি হবে।তোমরা দুজন বসে যাও”,মেজাজ দেখিয়েই বলে শোভনা।লোকটার যত বয়স বাড়ছে,বুদ্ধি কমছে।
“ঠিক আছে আমি তো যখন খেতে বলবে খেয়ে নেব।এমনিও তোমার মাংসের গন্ধে পেটের মধ্যে ছুঁচোরা ছোটাছুটি শুরু করে দিয়েছে।কিন্তু মানিনী কি তোমায় ছাড়া খাবে?আগেরবার তো একদিনও খায়নি তোমায় বাদ দিয়ে।জিজ্ঞেস করে দেখো”,সোফা ছেড়ে ওঠার আগ্রহ দেখায় না দীপক। রবিবারের দুপুরে কোন বাঙালি দুপুর একটায় মাংস ভাত খায়! হোকনা প্রবাসী,কিন্তু বাঙালি তো বটে,তাই বেলা এগারোটার লুচি তরকারি আড়াইটের আগে হজম হবে বলে মনে হয়না।
“মানিনী…মানিনী”,দীপকের কথায় গুরুত্ব না দিয়ে শোভনা নিজেই হাঁক দেয়।থালা বাটি ভালো করে ধুয়ে মুছে টেবিলে রেখে সব সারভিং বাটি টেবিলে রাখে।কিন্তু মানিনী সাড়া দেয়না,বা ডাইনিং স্পেসে আসেওনা।ভ্রুতে ভাঁজ পরে শোভনার,’গেল কোথায় মেয়েটা!করছে কি!সাড়া নেই কেন?’
সোফায় বসা দীপকের দিকে উদ্দেশ করে সবে বলতে যাবে একবার উঠে গিয়ে দেখে আসতে, ঘরে এসে ঢোকে মানি।
একটু অন্যমনস্ক লাগে ওকে।কারণটা জিজ্ঞেস করতে যাবে তার আগেই মানিনী বলে,”বলো কাকিমা ডাকছিলে?”
“হ্যাঁ, তুই আর কাকু বসে যা।আমার একটু দেরি হবে”,বাটিতে মাংস সাজাতে সাজাতে বলে শোভনা।
“না আমি তোমার সাথেই খাবো।এসে লুচি খেয়েছিলাম এখনো খিদে পায়নি একদম”,মানিনী এবার শোভনার মুখের দিকে তাকিয়ে বলে।
“আমি জানতাম তুই এটাই বলবি।আমিও তোর কাকিমাকে এটাই বলছিলাম সবাই একসাথে খাবো।তা আমায় ধমকে চুপ করিয়ে দিলো”,দীপক সুযোগ বুঝে ফোরণ কাটে।
“তুমি থামো।খালি ফুট কাটবে।খেয়েছে তো মেয়েটা মাত্র তিনটে লুচি,সে এতক্ষন পেটে থাকে?মুখটা শুকিয়ে গেছে।আজ আর পিজি ফিরতে হবে না।খেয়ে একটু বিশ্রাম নিতে যা”,শোভনা ভাত বাড়তে বাড়তে বলে।
মানিনী সত্যি অন্যমনস্ক হয়ে নিজের ফোনের দিকে তাকিয়ে কিছু ভাবছিল তাই আর উত্তর করেনা।
শোভনা নিজের মনে কথা বলতে বলতে ভাত বাড়তে থাকে।মানিনীর কানে সব কথা ঢোকেও না।ওর মনে তখন অন্য চিন্তার জট।দীপক কাকুদের এখানে ও ওর সাইড ব্যাগটা একটা বড় ব্যাগের সাথে রেখে গিয়েছিল পিজি যাওয়ার আগে।ওর টুকটাক কিছু জিনিস ছাড়া দরকারি কিছু সেখানে ছিলোনা।অফিস যাওয়ার জন্যে ব্যাগপ্যাগ একটা কিনেছিল বলে এই ব্যাগটারও দরকার লাগছিলো না।
আসলে পিজিতে ও সিঙ্গেল রুম পায়নি,পেয়েছে শেয়ার রুম।বাকি সব মনের মত বলে রুম নিয়ে মাথা ঘামায়নি ও,রাজি হয়ে গিয়েছিল মণিপুরী একটা মেয়ের সাথে রুম শেয়ারে।কিন্তু সমস্যা ছিল লাগেজে ।এই সাইড ব্যাগ আর একটা ছোট ব্যাগ রেখে গেছিল এদের কাছেই।
শেষ দুদিন ঠোঁটটা বড্ড ড্রাই হয়ে গেছে।লিপবামে কাজ হচ্ছে না,তাই আজ সাইড ব্যাগ হাতড়ে ঠোঁট নরম রাখার এন্টিবায়োটিক ক্রিম খুঁজছিল।আর ওকে অবাক করে ওর হাতে উঠে এলো একটুকরো কাগজ,যা আগে বেশ কয়েকবার ব্যাগ তন্নতন্ন করে খুঁজেও ও পায়নি।ব্যাগের ভিতরের ছোট্ট খাপে স্বযত্নে রাখা ছিল কাগজটা,অয়নের নিজের হাতে লেখা ওর ফোন নম্বর।
আসলে দুমাস আগে মেডিকেল টেস্ট দেওয়ার পর অনেকবার খুঁজলেও পরে আর সেভাবে খোঁজা হয়নি বাড়ি ফিরে,তাই হয়েতো মনেও ছিলোনা ওর কথা সেভাবে।
নম্বরটা নিয়ে কিছুক্ষন চিন্তা করে ফোন করেই ফেলেছিল শেষ অবধি ও,কিন্তু কেউ ফোন ধরলো না।অবাক হওয়ার থেকেও চিন্তা হলো একটু বেশি ওই অজানা ছেলেটার জন্যে।
অন্যমনস্ক ভাবে দুমাস পর হঠাৎ ছেলেটা মনে যেন ফিরে ফিরে আসতে লাগলো,বারবার মনে ভাসতে লাগলো সেই হাসিটা।
নিজের চিন্তার জাল ছিঁড়ে বেড়িয়ে যখন কাকিমার কথা কানে গেল হাজার বারণ করা সত্ত্বেও আটকাতে পারলো না ও শোভনাকে।জোর করে খেতে বসালো ও মানিকে।কিন্তু মানির আবদারে নিজেও শেষ অবধি বসলো ওদের সাথে।
খাওয়া সেরে মানি ভাবছে আর একবার অয়নের নম্বরে ফোন করবে কিনা,কাকুর গলা কানে গেল।
“মানি আয়,এই ব্যালকনিতে এসে বোস।ফ্ল্যাট জীবনে একটু রোদ্দুর পাবি এখানে।তোর অফিসের গল্পও শোনা যাবে।আয়, আয়…”,কাকুর কথা শেষ হওয়ার আগেই ঝাঁঝালো উত্তর আসে কাকিমার,”তুমি বুড়ো হয়েছ।এই ফেব্রুয়ারির ঠান্ডায় তোমার রোদ দরকার।মেয়েটা কে একটু তিষ্ঠতে দাও।বিশ্রাম নিক ও।”
“আরে না না।একা থাকলে তো অফিস থেকে ফিরে শুধুই বিশ্রাম আর ছুটির দিন সারাদিন শুয়ে বসে।আজ তোমাদের সাথে অন্তত একটু গল্প করি”,কাকিমা কে উত্তর দিতে দিতে কাকুর পাশে বেতের চেয়ারে গিয়ে বসে মানিনী।
কিছুক্ষনের মধ্যেই গল্প-আড্ডা,শীতের দুপুরের রোদ্দুরে বসে কমলালেবু,আর বিকেলের কফির আড়ালে চাপা পরে যায় অয়ন,আর তার নম্বর।
রাত ন’টায় নিজের রুমে ঢুকতে গিয়ে মানিনী দেখে ঘর অন্ধকার।মানে ওর রুমমেট আজ নিজের বয়ফ্রেন্ডের ফ্ল্যাটে গেছে,রাতে আর ফিরবে বলে মনে হয়না।
কাকু কাকিমা ওকেও খুব জোর করছিল রাতে থেকে যেতে,কিন্তু ওর অফিসের ব্যাগপ্যাগ নেই সেই অজুহাতে ও রাতের খাবার খেয়ে চলে এসেছে।ও জানে ও কাল ওখান থেকে অফিস যাওয়া মানেই কাকিমার ওপর চাপ।
নিজের বিছানায় কম্বলের তলায় ঢুকে ফোনটা যখন হাতে নিলো মানি তখন ঘড়িতে প্রায় সাড়ে ন’টা।কল লিস্টে গিয়ে বাবার নম্বর এ কল করতে যাওয়ার সময় চোখে পড়লো অয়নের নম্বরটা।অন্যমনস্ক ভাবে দেখেও প্রথমে ফোনটা করলো নিজের বাবাকেই।সব কথা বললেও মনটা পরে রইলো ওই নম্বরের দিকেই।
অয়নের নম্বরে রিং হতে শুরু করতেই মানিনী এক অদ্ভুত উত্তেজনা টের পেল নিজের মধ্যে! কী ব্যাপার নম্বরটা নিজে হাতেই তো লিখে দিয়েছিল,এখন ধরছে না!
কেটে যাওয়ার ঠিক আগের মুহূর্তে কলটা রিসিভ হলো।
-“হ্যালো অয়ন বলছেন?”
-“হ্যাঁ।আমি অয়ন সেন বলছি”।
-“আমি মানিনী,সেই রাজধানী এক্সপ্রেসে মাস তিন আগে আলাপ হয়েছিল।আপনার নম্বরটা হারিয়ে গেছিল,আজ খুঁজে পেলাম।হ্যালো অয়ন শুনতে পাচ্ছেন আমার কথা?হ্যালো হ্যালো…”,ফোনের ওপারে এক অদ্ভুত স্তব্ধতা মানিকে একটু হলেও অবাক করে।ভুলে গেছে মনে হয় ছেলেটা ওকে,নিশ্চই মনে করার চেষ্টা করছে।…
ক্রমশ..
2 comments
eto deri kore keno lekho tumi?hyan?taratari lekho na…..
Daroon lagche