প্রথম পর্ব:-
“পর্ণা আমার ওয়ালেট কোথায়?” নিজেরদের বেডরুমে স্বাভাবিক গলায় বলা কথা গুলো পর্ণার কানে পৌঁছায়নি বুঝতে পেরে এবার শুভঙ্কর চিল চিৎকার করে ওঠে,”পর্ণা…..”।রান্নাঘরে আটা মাখতে মাখতে অন্যমনস্ক হয়ে পড়েছিল পর্ণা,এই সপ্তাহের শেষে ফাইনাল ইয়ারের রেজাল্ট বেড়োবে,সেটাই ভাবছিলো।প্রথম দুটো পার্টের রেজাল্টই ভালো হয়েছিল,৬০% এর ওপরেই নম্বর ছিল।কিন্তু পার্ট ৩ এর আগে বিয়ের কথা ফাইনাল হয়ে যায়।যদিও শুভঙ্কর এক মুহূর্ত পড়াতে ফাঁকি দিতে দেয়নি,এমনকি পরীক্ষা শেষ না হওয়া অবধি বিয়ের কেনাকাটা ,আলোচনা কিছু করতেও দেয়নি,তাও উত্তেজনা তো একটা ছিলই।তাই প্রিপারেশন খুব মন মতো ছিলোনা,তবে পরীক্ষা মন্দ হয়নি।বরং উল্টে বেশি ভালোই হয়েছিল আগের দুবারের থেকে।শুভ্রা দেবী মানে শুভঙ্করের মা খেয়াল করেছিলেন পর্ণা আজ সকাল থেকে একটু অন্যমনস্ক,আজ কাজের মেয়েটা আসেনি,নাহলে ওই আটা মেখে দেয়,পর্ণা জোর করেই আটার জায়গাটা কেড়ে নিল মাখবে বলে।আজ শুভ বিয়ের পর প্রথম কলেজে যাবে,তাই টিফিনে পরোটা আলুর তরকারি করে দেবেন।হটাৎ চিল চিৎকারে পর্ণা চমকে উঠলো,আটায় জল ঢালছিলো…চলকে বাইরে পরে গেল।শুভ্রা দেবী হেসে ফেললেন, ‘আহা বেচারি,বিয়ের সবে দিন কুড়ি হয়েছে।ও আর কিকরে এ গলা জানবে।উনি পরিচিত এই চিৎকারের সাথে,নিশ্চই কিছু পাচ্ছেনা।’পর্ণা ভয়ার্ত চোখে ওর মামনি শুভ্রা দেবীর দিকে তাকাতে উনি হেসে ইশারা করলেন গিয়ে দেখতে।পর্ণা তাড়াতাড়ি হাত ধুয়েই ছুটলো দেখতে।”কি হলো!অত জোরে ডাকলে?”পর্ণার প্রশ্নের উত্তরে শুভ বিরক্ত হয়ে বলে,”আমার ওয়ালেট টা কই?মায়ের মতো তোমারও দেখছি গোছানোর স্বভাব।বেশি গুছোলে আমি কিছু খুঁজে পাইনা।”পর্ণা কোনো উত্তর না দিয়ে খাটের পাশের টেবিলের ওপরের ড্রয়ার টেনে ওয়ালেটটা বের করে হাতে করে এনে শুভর হাতে দিলো।শুভ ওয়ালেট নিতে গিয়ে হাতটা টেনে পর্ণাকে নিজের বুকের ওপর এনে ফেললো,”কি করছো সকাল থেকে রান্নাঘরে?একবারও ঘরে আসতেও ইচ্ছা করেনা?আজ থেকে তো সারাদিন দেখতে পাবেনা।মন খারাপ করবেনা?”শুভর এই হঠাৎ ভালোবাসার আক্রমণে পর্ণা একটু হকচকিয়ে গেল।সামলে নিয়ে লজ্জায় মুখ রাঙা করে শুভর বুকে মুখ লুকোল।জানে মা এখন এদিকে আসবেনা,তাও এক হাতে পর্ণাকে জড়িয়ে ধরে এক হাতে আলতো করে ঘরের দরজাটা টেনে দিলো শুভ।না চাইতেও শুভ্রার মনটা ভারী হয়ে উঠে হঠাৎ।রান্নাঘরের জানলা দিয়ে বাইরে চোখ যায়।অনেক অল্প বয়সে স্বামীকে হারিয়ে সন্তানকে আঁকড়ে বেঁচে থাকা মায়ের অধিকার গুলো এবার ছাড়তে হবে বলে হয়তো।এবার “মা,মা”এর থেকেও বেশি দরকারে শুভ পর্ণাকেই খুঁজবে।হঠাৎ চমকে ওঠেন নিজের মনেই এসব কি ভাবছেন তিনি!ছি ছি!শুভ্রাই তো চেয়েছিলেন ছেলে সংসারী হোক,তাহলে এসব কি চিন্তা ভাবনা! না না এসব ভাবনাকে কোনো ভাবে প্রশ্রয় দিলে হবেনা।তাছাড়া পর্ণা সত্যি এখনো ছেলেমানুষ।বিয়ের পর এ’কদিন সুযোগ পেলেই ওনার পায়ে পায়ে ঘুরেছে কিন্তু কখনো যেচে কোথাও ঢোকেনি যতক্ষন না শুভ্রা বলেছেন।ওনারও খেয়াল রেখেছে যতটা রাখার।চা খেলে এখন ওই করে দেয়।কালরাত্রির রাতে যখন ওনার বুকের মধ্যে ঢুকে এসে ওনাকে জড়িয়ে ঘুমাচ্ছিল একটা অদ্ভুত স্নেহরসে মন আর্দ্র হয়ে যাচ্ছিল।সত্যি বলতে শুভর থেকে ১২বছরের ছোট একটা মেয়ে তার ছেলের থেকেও বেশি আদরের হওয়া উচিত,যাতে বাড়ির অভাব সে কখনো বুঝতে না পারে।পর্ণা কখনোই তার কম্পেটিটর না,বরং অনেক বেশি আপন হতে পারে।নিজের মনকে আসল সত্যতা বুঝিয়ে ঘাড় নেড়ে হাসতে হাসতে রান্নায় মন দিলেন।আটা টা ঠিক করে নিতে হবে,সময় নেই,পরোটা গুলো বানিয়ে টিফিনটা রেডি করে পর্ণাকে বলতে হবে শুভর ব্যাগে ভরে দিতে।দরজা ভেজিয়ে পর্ণাকে নিয়ে খাটে এসে বসলো শুভ।দুহাত দিয়ে মুখটা তুলে ধরে কপালে আলতো করে একবার ঠোঁট ছুঁইয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে বললো,”পাগলী রেজাল্ট ভালো হবে।ভয় পাচ্ছো কেন?”পর্ণা মনে মনে এসব ভাবলেও শুভর থেকে এই মুহূর্তে এই কথাটা আশাও করেনি।চোখ গুলো মেলে অবাক হয়ে ওর মুখের দিকে তাকালো।এই মানুষটার মতো ওর মন পড়তে সত্যি কেউ পারেনা।ওর অবাক চোখের দিকে তাকিয়ে শুভ আবার বললো,”এখনো সপ্তাহ খানেক বাকি,এখন থেকেই রাতে ঘুমোচ্ছ না।এখনও বুঝতে পারলাম হার্টবিট ফাস্ট।আমি আছি তো।এত চিন্তা করতে হবেনা”।”তুমি আছো বলেই তো চিন্তা।আমি জানি আমার থেকেও আমার ওপর তোমার আশা বেশি।যদি তোমার আশা পূরণ করতে না পারি।যদি তুমি কষ্ট পাও?!”পর্ণা মুখটা আবার শুভর বুকে গুঁজে বললো,এই জায়গাটা ওর খুব প্রিয়,যেন এখানে মুখ গুঁজলে অপার শান্তি,কোনো দুশ্চিন্তা,ভয় কিছু নেই।শুভ পর্ণার চুলে আলতো করে হাত বোলাতে বোলাতে বললো,”বাহ!এই চিনেছো তুমি আমায়?তুমি ভালো না থাকলে আমার সবচেয়ে বেশি কষ্ট হয়,এখনো বোঝনা?তোমার হাসি,তোমার উচ্ছলতা,তোমার গুনগুন করে গান এগুলোই আমায় আনন্দে রাখে।কিন্তু তুমি ভালো না থাকলে আমি কিকরে খুশি থাকি?…আর রেজাল্ট?….সে তোমার ভালো হবে।আর যদি ভালো নাই হয়,কি হবে তাতে?তুমি শুধু খুশি থাকো।…খুশি থাকবে বলেই তো সায়েন্স ছেড়ে বাংলা নিয়েছিল?তাহলে প্লিজ সেই বাংলাকে নিয়ে চিন্তা করে খারাপ থেকোনা।”শুভঙ্করের কথা শেষ হতে না হতেই পর্ণা ভয়ার্ত গলায় বলে উঠলো,”বাপরে বাপ!মাথা পুরো ঘেঁটে দিলো”,বলে হেহে করে হাসতে লাগলো।শুভঙ্করের মধ্যে হঠাৎ দুষ্টুমি জাগলো।পর্ণাকে জড়িয়ে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে ওর ঠোঁটে ঠোঁট চেপে ধরলো। মেয়েটাকে ও যতটা বাচ্চা ভেবেছিল,বারবার প্রমান পেয়েছে দরকারে ও অনেক বেশি ম্যাচিউর,হয়তো শুভর থেকেও বেশি।নিজের থেকে এতটা ছোট,তার ওপর ছাত্রী আর আগে কোনো মেয়ের সাথে এরকম সম্পর্ক না থাকা…. সব মিলিয়ে বিয়ের পর শুভ কিছুতেই পর্ণার কাছে নিজেকে খুলতে পারছিলনা।স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক কিভাবে শুরু হবে তা নিয়ে ও যথেষ্ট টেনশনেই ছিল।বিয়ের আগে দুজনে ঘুরেছে,মুভি দেখতে গেছে,সময় কাটিয়েছে কিন্তু শুভ কোনোদিনও প্রেমিক হয়ে উঠতে পারেনি।ওর ভালোবাসা যে কতটা সীমাহীন পর্ণা হয়তো প্রতি মুহূর্তে অনুভব করতো কিন্তু শুভ কোনোদিনও তা দেখাতে পারেনি।বিয়ের পরও সেই অবস্থান বজায় ছিল,নিজেকে ছাড়িয়ে বেরোতে চাইলেও কিভাবে বেরোবে বুঝতে পারছিল না।পর্ণা বুঝতে পারছিল শুভর মনোভাব,কিন্তু প্রথমদিকে ও নিজেও সেই শান্ত সম্পর্কটা চালিয়ে যাচ্ছিল,আর এদিকে শুভ মনে মনে ভয় পেতে শুরু করেছিল।যদি পর্ণা ওকে না বোঝে, যদি কোনোদিন শুভ নিজেকে মেলতে না পারে..বিয়ের পর স্বামীর দিক থেকে ভালোবাসা সব মেয়েই আশা করে।দিন দিন মনমরা হয়ে যাচ্ছিল শুভ।কিন্তু অন্য সব বিষয় পর্ণার প্রতি শুভর খেয়াল ছিল সজাগ।পর্ণা অনুভব করতে পারতো শুভর সেই ভালবাসা,যা হয়তো সব মেয়ের কাম্য। হানিমুনে দার্জিলিং যাওয়াটা শুভ পর্ণা দুজনেরই পছন্দ ছিল।পর্ণা যেভাবে এই দুবছর ধরে প্রতিটা খারাপ সময় শুভকে সামলেছে,এবারেও তাই করে।খোলস থেকে টেনে বের করে ওকে।প্রকৃত স্বামী,প্রকৃত প্রেমিক হয়ে ওঠে শুভ।পরিপূর্ণতা পায় ওদের ভালোবাসা। পর্ণা নিজেকে ছাড়াবার চেষ্টা করেনা,কিন্তু শুভ্রা দেবী কিছুক্ষন পরেই পর্ণাকে চেঁচিয়ে ডাকেন।শুভর বাহুডোর ছেড়ে এক লাফে উঠে পড়ে “দুষ্টু” বলে মুখ ভেংচে রান্নাঘরের দিকে ছোটে পর্ণা।শুভ নিজের মনে হেসে আবার রেডি হওয়ায় মন দেয়।শুভ এভাবেই পর্ণার মন থেকে ভয়টা দূর করতে চেয়েছিল।ও জানতো মেয়েটা সব সময় ওকে খুশি দেখতে চায়,তাই রেজাল্ট নিয়ে এত চিন্তা।কিন্তু সত্যি এটাই, শুভ চায় পর্ণা জীবনে ওর স্বপ্ন পূরণ করুক,কিন্তু তার জন্যে অখুশি থাকুক সেটা কোনোদিনও দেখতে পারেনা।পর্ণার মুখের হাসিটাই এখন ওর সারাদিনের কাজের শক্তি।পর্ণাকে আরো একটা সারপ্রাইজ দেওয়ার আছে শুভর,থাক সময় মতো দেবে।যদিও পরে জানলে খুশি হওয়ার সাথে সাথে অভিমানী মেয়েটা ঠোঁট ফোলাবে এতদিন না বলার জন্যে। ডাইনিং টেবিলে গিয়ে দেখে মা আগের মতোই খেতে দিয়েছে আর পর্ণা টিফিন গোছাচ্ছে।”মা তোমরা কিছু খাবেনা?”শুভর কথায় শুভ্রা দেবী বলেন,”হ্যাঁ আমরা জলখাবারে পরোটা খাবো।আমি না খেলে তো তোর বদমাশ বৌটাও খাবেনা।ভীষণ দুস্টু”।মায়ের কথা বলার ধরণে হেসে ওঠে শুভ,আবার মনে মনে শান্তিও পায়।এরকম সম্পর্কই তো সব ছেলে চায়,তার চির দুঃখী মা টাকে নিয়েই চিন্তা ছিল সবচেয়ে বেশি।যে ভয়ে বিয়ে করতে চাইনি এতদিন।মনে মনে পর্ণার প্রতি ভালোবাসা বেড়ে যায়।ওর মাকে ও চেনে,সবাইকে আপন করে নিয়ে থাকতেই বেশি পছন্দ করেন প্রথম থেকে,কিন্তু পর্ণা যে সেটা বুঝেছে এটাই অনেকে বোঝেনা।কিন্তু এটুকু বোঝাপড়াতেই সম্পর্ক গুলো ভালোভাবে বেঁচে থাকে।শুভঙ্কর বেরোবার সময় এতদিন শুভ্রা দেবী শত কাজ থাকলেও দরজার কাছে গিয়ে দাঁড়াতেন।আজ পর্ণাকে সেই জায়গাটা মনে মনে ছেড়ে দিতে উদ্যোগী হন।কিন্তু পাগলী মেয়েটা চুপচাপ বসে আছে দেখে নিজেই বলেন,”যা পর্ণা শুভ বেরোচ্ছে গিয়ে দরজায় দাঁড়া।ও পিছন ঘুরে একবার দেখে চলে গেলে দরজা দিয়ে দিস।”পর্ণা হেসে বলে,”ওসব আমি পারবোনা।তুমি যাও।”বলে নিজের ঘরে পালায়।পর্ণা অনেকদিন আগে শুনেছিল শুভর কাছে তার মা শত কাজেও শুভ কলেজ যাওয়ার সময় ঠিক দরজায় এসে দাঁড়ান,এটা মা ছেলের না বলা বোঝাপড়া,তাই সেই জায়গাটা ও কখনোই নিতে চায়না।ও গিয়ে নিজেদের ছোট ব্যালকনিতে দাঁড়ায় যাতে শুভ রাস্তায় বেরোলে একবার দেখতে পায়।দুপুরে খাওয়া সেরে শুভ্রা দেবী একটু শোন, সেই সময় পর্ণা নিজের ঘরে বসে গল্পের বই পড়ে।হঠাৎ ফোনটা বেজে ওঠে,তাকিয়ে দেখে এস.এস কলিং…যেদিন প্রথম শুভঙ্করের ফোন নম্বর পায়,সেদিন থেকেই এই নামে সেভ করা।ফোনটা ধরে বলে,”টিফিন খেলে?””কি আনরোমান্টিক বউ আমার?দুপুর বেলা বর ফোন করলে কোথায় গদগদ গলায় ভালো ভালো কথা বলবে,তা না টিফিন এর চিন্তা”…শুভঙ্করের কথা বলার ধরণে হেসে ফেলে পর্ণা। হাসতে হাসতে বলে,”হ্যাঁ তাইতো,কে বলবে ক্লাসে তুমি ‘হুঁকো মুখো হ্যাংলা’ হয়ে থাক!সব স্টুডেন্ট প্রথম দিন তোমায় মনে মনে গালাগাল দেয়।”বলেই হোহো করে হাসতে লাগে।শুভঙ্কর ছদ্ম রাগ দেখিয়ে বলে,”কি আমায় নিয়ে এসব ভাবতে তুমি?এই কে কোথায় আছো,এখুনি উকিল ডাক।আজই ডিভোর্স…”ওপাশে পর্ণার খিলখিল শব্দের আওয়াজ কথা থামিয়ে দেয়।এটাই তো শুনতে চেয়েছিল শুভ।এই জন্যেই তো কলেজে আড়াল খুঁজে ফোন করা।ওই অকারণ চিন্তাক্লিষ্ট মুখটা বড়োই ওর বুকে বেঁধে।জানেনা পর্ণার সাথে এটা ওর কত নম্বর জন্ম,কিন্তু পর্ণা যেন ওর পুরোটা হৃদয়।’ভালোবাসি পর্ণা,তোমায় পাগলের মতো ভালোবাসি।প্রকাশ করতে পারিনা,কিন্তু তোমায় ছাড়া কিছু ভাল্লাগেনা।তাই তো এই কলেজও ছেড়ে দেব।তোমার জন্যে উনিভার্সিটিতে আপ্লাই করে ইন্টারভিউ ক্লিয়ার করে দিয়েছি।কল আসা সময়ের অপেক্ষা।তোমায় বলিনি সারপ্রাইজ দেব বলে।জানিনা তোমার ভালোবাসায় কি টান আছে,সবাই বশীভূত হয়ে যায়।তুমি এরকমই থেকো সারাজীবন আমার আদরের পর্ণা হয়ে।তোমায় কিছু না পারি আদর দিয়ে ঢেকে রাখবো।তোমায় আগলে রাখবো আমি’,শুভঙ্করের মনে মনে বলা কথাগুলো হয়তো পর্ণার কানে পৌঁছলনা।কিন্তু শুভর মন পড়তে পারা পর্ণাও মনে মনে উত্তর দেয়,’আমি আর মন খারাপ করিনিগো।তুমি যেমন আমায় মিস করছো আমিও তার চেয়ে বেশি তোমায় খুঁজছি।আমার হাসিতে তোমার খুশি,আবার তোমার খুশিতে আমার খুশি।তোমাকে সব সব সব টুকু ভালোবাসা দিয়ে ভালো রাখবো আমি।’দুজন দুপ্রান্তে নীরব থেকে মনে মনে কথা বলতে লাগলো যেন।নিঃস্বাস দিয়ে অনুভব করতে লাগলো একে অপরকে।বাইরে তখন শুরু হয়েছে শ্রাবনের বারিধারা,সেই জলে ভিজে গাছের ডালে একে অপরকে প্রায় জড়িয়ে বসে আছে দুটো শালিখ পাখি।