ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে সিগারেট টানতে টানতে অয়ন মাথার মধ্যে ঘুরতে থাকা অশান্তির কারণগুলো নিয়ে ভাবছিল। এবছর দুর্গাপুজোতেও বাড়ি যাওয়া হবে কি না সন্দেহ।তিনমাস হতে চলেছে পুরো দেশ ঘরবন্দি। একুশ দিন দিয়ে শুরু হয়েছিল,এখন দিনে কয়েক ঘন্টার জন্যে দোকানবাজার খুললেও স্বাভাবিক জীবন ক’বে ফিরবে কেউ জানেনা।যেন একটা দুঃস্বপ্নের মধ্যে দিয়ে চলছে গোটা দুনিয়া। রোজ সকালে ঘুম ভেঙে ফোন খুলতে ভয় হয়,কে জানে আজ কত হাজারে গিয়ে পৌঁছলো সংখ্যাটা। ওর কাছের মানুষদের মধ্যে দুই বন্ধুর বাবা,ওর এক কলিগের স্বামী এভাবে অনেককেই কেড়ে নিয়েছে এই মহামারী।
আজকাল মায়ের গলাতেও একটা হতাশা শুনতে পায়।একাকীত্ব এই প্রথম মা’কে ছুঁতে পেরেছে। বাবার সাথে কোনোদিনও বন্ধুত্বের সম্পর্ক ওর মায়ের ছিলোনা।তাও ওদের ছেড়ে যাওয়ার পর মাত্র কিছুদিন মা মনমরা ছিল,বাইরে বের হতে চাইতো না। কিন্তু সংসারের চাপে বেশিদিন নিজেকে একা করে রাখেনি।নিজের স্কুল ছাড়াও সামাজিক সব কাজেই একা সামলেছে সব কিছু।এমনকি অয়নের দরকারে ওর স্কুল কলেজেও গেছে।
এই করোনার ভয়ে মা মামাবাড়িও যায়না।কিছু দরকার পরলে মামাকে ফোন করে,ফোনেই কথা বলে নেয়।
প্রকৃত অর্থে মা একা হয়ে পড়েছে।
“তখন থেকে ডাকছি,শুনতে পাচ্ছো না?” ব্যালকনির দরজা খুলে একটু ঝাঁঝের সাথেই বলে মানিনী।
হাতের নিভে যাওয়া সিগারেটের বাড্সটা ব্যালকনিতে রাখা অ্যাশট্রে তে গুঁজে দিয়ে মানিনীর দিকে ঘুরে তাকায় অয়ন।
-“দরজা বন্ধ থাকলে শোনা যায়না জানোই তো।বলো কী বলছো?”
-“একটু ঘরটা মুছে দেবে মপ দিয়ে?”
-“আমার তো এখন পরপর কল আছে।সেই বিকেল চারটে অবধি।তারপর দিলে হবে?”
-“বিকেল চারটের পর? থাক আমিই করে নেব”।
ব্যালকনির দরজা জোরে বন্ধ করে চলে যায় মানি।কিছুটা হলেও চমকে যায় অয়ন। আজকাল মানিনী কেমন বদলে গেছে। ধৈর্য্য কমে গেছে। ওর অফিসে অনলাইন কাজের চাপ কম,কিন্তু অয়নের চাপ এই ওয়ার্ক ফ্রম হোমে বেশ বেড়েছে।
এই পুরো লকডাউন পিরিয়ডে সব পরিবারকেই নিজেদের কাজ নিজেদের করতে হচ্ছে, কোনো হেল্পিং হ্যান্ড আসতে পারছে না।সংক্রমণ এড়াতে সোশ্যাল ডিস্টেন্স মানতে সবাই ঘরবন্দী আজ।
অয়ন মানিনীর সংসারে শনি রবিবার বাদে রান্না ঘরপরিস্কার বেশিরভাগ কাজ মানিনী একা করে এখন।ওর অনলাইন কাজ হলেও সেটা নিয়মিত না।কারণ ওদের অফিসের ইনফ্রাস্ট্রাকচার অনুযায়ী অনলাইন কাজ সেভাবে সম্ভব না।বিশেষ করে ওর পদে।
প্রথম প্রথম মানি বেশ হাসি মুখে সবটা সামলেছে,কিন্তু দীর্ঘদিন করতে করতে হয়তো এখন আর পারছে না।আস্তে আস্তে সব স্বাভাবিক হবে আশা করেও এতো মাস হয়ে গেল হঠাৎ যেন স্তব্ধ হয়ে গেছে সব কিছু। ওদিকে অয়নেরও কাজের চাপ দিন দিন বাড়ছে।তার সাথে যোগ হয়েছে চাকরি নিয়ে অনিশ্চয়তা।ওদের কোম্পানিতে এখনো সেভাবে কিছু নজরে আসেনি,কিন্তু অনেক প্রাইভেট কোম্পানি কস্ট কাটিং করতে কর্মী ছাঁটাই শুরু করে দিয়েছে।
ব্যালকনির দরজা ঠেলে ভেতরে এসে অয়ন নিজের ল্যাপটপের দিকে যেতে গিয়ে আড়চোখে দেখতে পায় মানির থমথমে মুখটা।
অয়ন আর কথা না বাড়িয়ে নিজের বেডরুমের দরজাটা ভেজিয়ে দিয়ে বিছানায় রাখা অফিসের ল্যাপটপের সামনে গিয়ে বসে।
আজ সকালে ওর মা বলেছে গলাটা অল্প ব্যথা।সেই নিয়ে একটা চিন্তা মনের মধ্যে ঘুরছেই। এই অদ্ভুত রোগ কীভাবে যে ছড়িয়ে পড়ছে কিছুই বুঝতে পারছে না স্বাভাবিক মানুষ।মা তো বাড়ির বাইরে বের হচ্ছে না,তাহলে তো কোনোভাবে সংক্রমিত হওয়া সম্ভব না।কিছুই মাথায় আসেনা অয়নের।ব্যক্তিগত চিন্তা সরিয়ে অফিসের কাজে মন দেয় ও।মা যদি গলা ব্যথা বলে,তাহলে বুঝতে হবে আরও বেশি বাড়াবাড়ি হয়েছে বলে ওকে শুধু হিন্টস দিয়েছে।
সন্ধের দিকে ফোনটা আসে মানিনীর নম্বরে,তখন ও টিভিতে খবর শুনছিলো। হয় পুরোনো সিনেমা নাহলে খবর,এখন টিভিতে এই দুটোই চলে। বাকি খেলা,সিরিয়াল সবই বন্ধ হয়ে আছে করোনার দাক্ষিণ্যে,সব ইন্ডাস্ট্রি বন্ধ।
টিভি থেকে চোখ সরিয়ে ফোনের স্ক্রিনে তাকিয়ে দেখে অয়নের মা ফোন করছে। ওর মায়ের বারণ না শুনে বাড়ি ছেড়ে চলে আসার পর থেকেই এক অদৃশ্য দেওয়াল ওদের দুজনের মধ্যে তৈরি হয়েছে এই ক’মাস,এটা মানিনী শুধু না অয়নও উপলব্ধি করতে পারে।কিন্তু বিষয়টা নিয়ে ওরা সতর্ক ভাবেই কথা বলা এড়িয়ে যায়। অয়নের মা সাধারণত ওর ফোনেই কল করে,আর মানিনীর বাবা নিজের মেয়ের ফোনে। আর বাবা মা কে ফোন করার ক্ষেত্রেও মাঝে মধ্যে ব্যতিক্রম ছাড়া যে যার মা বা বাবাকে ফোন করে।তাই হঠাৎ অয়নের মায়ের নম্বর দেখে মানিনী অল্প হলেও বিচলিত হয়।
-“হ্যাঁ মা বলুন”।
-“মানি বাবু কি ব্যস্ত…ওর ফোনটা…”,গলাটা খুব বেশি রকম কাঁপছে অয়নের মা’র।
-“মা কী হয়েছে আপনার? আপনার গলা এরকম শোনাচ্ছে কেন? অয়নের মিটিং চলছে সেই দুপুর থেকে,তাই হয়তো ফোন সাইলেন্ট।আমায় বলুন মা আপনি কী অসুস্থ?…”,মানিনীর কথার মাঝেই হঠাৎ অয়ন এসে ওর ফোনটা প্রায় কেড়ে নিয়ে নিজে কথা বলতে শুরু করে দেয়,চমকে যায় মানিনী।
“মা কী হয়েছে তোমার? জ্বর বেড়েছে?মা,কথা বলো”,অয়নের গলাও উত্তেজনায় কাঁপতে থাকে।আর মানি অবাক হয়ে যায় অয়নের কথা শুনে,’অয়ন আগে থেকে জানতো ওর মা’র শরীর ভালো না।কিন্তু মানি কে কিছু জানায়নি!!আশ্চর্য্য!!’
-“বাবু আমি তোর মামা দের…ফোন করেছিলাম…ওরা টেস্টের ব্যবস্থা করেছিল…দুপুরে রিপোর্ট এসেছে…পজিটিভ…”,এটুকু বলেই হাঁফিয়ে যায় প্রতিমা।
“মা,মা…”,আর কিছু বলতে পারেনা অয়ন,ওর গলা ধরে যায়।
“বাবু…চিন্তা করিসনা…আমি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে যাচ্ছি…একা মানুষ কে দেখবে! ওখানে তাও কেয়ার নেওয়ার স্টাফ আছে। চিন্তা করিসনা,তোর মা ঠিক সুস্থ হয়ে যাবে”,কষ্ট করে হলেও কথা গুলো বলে অয়নের মা।
সারাজীবন নিজের মাকে লড়তেই দেখেছে। কখনো কোনো পরিস্থিতিতে যাকে ভাঙতে দেখেনি আজ তার এই ভয়ঙ্কর দিনে ছেলে হয়ে কিছু করতে না পারার অসহায়তা ভেঙে দেয় অয়নকে। মায়ের ফোন কেটে সোফায় বসে কান্নায় ভেঙে পড়ে ও।
এই অজানা রোগ এই ক’মাসে নিজের যে ভয়ঙ্কর রূপ দেখিয়েছে তাতে আতঙ্কিত সারা বিশ্ব। অয়নের এই ভেঙে পড়া সেদিক দিয়ে খুবই সঙ্গত পূর্ণ হলেও মানিনী বুঝতে পারেনা কী বলবে? চিন্তা ভাবনায় ওর নিজেরও দিশেহারা লাগে,তাও অয়নকে সান্ত্বনা দিতে ওর কাঁধে হাত রাখে ও।
অয়ন ততক্ষনে নিজেকে সামলে মুখ তুলে তাকায় মানিনীর দিকে। কিন্তু ওর মুখের দিকে তাকিয়ে চমকে যায় মানি।কিন্তু সেটা গুরুত্ব না দিয়ে বলে,”সব ঠিক হয়ে যাবে অয়ন। বি পজিটিভ। মা সুস্থ হয়ে যাবেন। তুমি প্লিজ এভাবে ভেঙে পর না।”
কোনো উত্তর দেয় না অয়ন।শুধু মানিনীর হাতটা কাঁধ থেকে নামিয়ে দিয়ে উঠে যেতে যায়।
“কী হলো আমার সাথে এরকম ব্যবহার করছো কেন? কদিন ধরেই দেখছি আমার সাথে ঠিক করে কথা অবধি বলছো না।কী ব্যাপার প্লিজ একটু বলবে?” মানিনী হঠাৎ সব ভুলে একটু জোরেই বলে ওঠে।
অয়ন দাঁড়িয়ে পরে কিন্তু উত্তর দেয় না।মানি আবার জিজ্ঞেস করে,”জানি তুমি চিন্তায় আছো।মন ঠিক নেই।কিন্তু আমারও বাবা একা আছে।আমারও টেনশন হয়।কিন্তু আমি তো তোমার মত ব্যবহার করিনা”।
“প্লিজ মানিনী চুপ করবে? আমার মা কোভিড আক্রান্ত হয়ে একা হসপিটালে গিয়ে থাকছে কারণ কেউ দেখার নেই।আমি ছেলে হয়েও অসহায়ের মত খালি শুনছি।এতটা হেল্পলেস জীবনে কখনো ফিল করিনি বিশ্বাস করো।সেদিন মায়ের কথা শুনে রয়ে গেলে আজ হয়তো এই দিন আসতো না”,অয়ন অন্যমনস্ক ভাবে বলেই ফেলে মনের চিন্তাটা।
“মানে!!সেদিন থাকার কী কোনো সুযোগ ছিল?আজ ওখানে থাকলে আমার নিজের চাকরি অনিশ্চিত হয়ে যেত।শেষ দিন অফিস যাওয়া কতটা দরকার ছিল তুমি তো জানো।তাহলে?”,মানি চমকে গিয়ে মনে করাতে চায় অয়নকে।
“ঠিক আছে তুমি চলে আসলেও, আমি তো আমার মায়ের কাছে থাকতে পারতাম।অন্তত বয়সের খেয়াল রেখে।নিজেকে বড্ড অপরাধী মনে হচ্ছে আজ”,অয়ন নিজের ছোটবেলায় দিনে ফিরে গিয়ে যেন বলে।
“তুমি কী বলছো জানো? আমি এখানে একা…সারভাইভ করতাম কী করে?” মানিনীর গলায় বিস্ময় ঝরে পড়ে।
“কেন তুমি একা দিল্লিতে থাকনি?এখান আর যাই হোক ঘরে বসে সব অন্তত পাবে।ওখানে সেটা সম্ভব না।আর মায়ের বয়সটার কথা ভাবো?” অয়ন যেন মরিয়া হয়ে ওঠে।
“অয়ন আমার বাবাও বয়স্ক।মা যথেষ্ট শক্ত সামর্থ্য,এতদিন সব তো নিজেই করেছেন।কোনো ভাবে ইনফেকশন হয়ে গেছে,কিন্তু ঠিক সময়ে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে চলে গেছেন।দেখবে ঠিক সুস্থ হয়ে যাবেন”, মানি আস্বস্ত করতে চায় অয়নকে।
“দেখো মানি আজ তোমার জেদের জন্যে এই দিন আমায় দেখতে হচ্ছে।সেদিন জীবনে প্রথমবার মায়ের কথার অবাধ্য হয়ে আজ নিজে বিবেকের কষ্টে জ্বলছি।আজ আমার মা’কে দেখাশোনার জন্যে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে যেতে হচ্ছে…”,অয়ন যে প্রচন্ড আপসেট ওর কথাগুলোই বারবার বুঝিয়ে দেয়।
কিন্তু মানুষের মন বিচিত্র। দীর্ঘদিনের এক ঘেয়ে জীবন,তারওপর অকারণে দোষারোপ মানিনীকে একটা সময় বিরক্তির সীমায় পৌঁছে দেয়। ‘নিজের মায়ের চিন্তায় অয়নের মাথা শান্ত নেই’,নিজেকে বারবার এটা বোঝাতে বোঝাতেও একসময় মানি ফেটে পড়ে।
“এমন ভাব করছো যেন জীবনে মা’কে একা রাখনি!! আজ আমার অফিসের জন্যেই নাহয় চলে এসেছিলাম,কিন্তু তুমিও কি নিজের কেরিয়ার সামলাতে আগে অসুস্থ মা’কে একা ছাড়োনি?এমনকি অ্যাপেন্ডিসাইটিস অপারেশন হয়েছিল মায়ের তুমি অফিসের চাপে সঙ্গে সঙ্গে যেতে পারোনি।আর আমার একার সিদ্ধান্তে তো তুমি আসনি, তুমিও সেদিন বলেছিলে আসাটা দরকার।আমার বাবার বয়স হয়নি? নাকি আমি মেয়ে বলে এই অবস্থায় দূরে থাকাটা স্বাভাবিক! সেটা দিল্লি হোক বা তোমার বাড়ি…”,মানিনী অনেকদিন ধরে চেপে রাখা ক্ষোভ বের করতে থাকে।
“মানি প্লিজ আমার মন মেজাজ ঠিক নেই।আমি কোনো তর্ক করতে চাইনা তোমার সাথে”,অয়ন ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যেতে চায়।
“হ্যাঁ সেই।সেই তিনমাস ধরেই তোমার মন মেজাজ খারাপ।আসলে কী হয় বলতো,আমার মত বোকারা বারবার ঠকে।আমরা ভুলে যাই সব ছেলে সময়ের সাথে সাথে একই ধরণের হয়ে যায়।সময়ের সাথে উৎসবের সাথে অয়নের কোনোই পার্থক্য থাকেনা।মেয়েটা খুব তাড়াতাড়ি টেকেন ফর গ্রান্টেড হয়ে যায় তাদের কাছে।কেউ বদলায় বিয়ের নামে,কেউ বিয়ের পর এটাই যা পার্থক্য।আর সেই কারণেই উৎসবরা অনেক বেটার হয় অয়নদের থেকে”,আর দাঁড়ায় না মানিনী।অয়নকে থমকে দিয়ে ওর পাশ দিয়ে ঝড়ের বেগে বেরিয়ে যায়।আরেকটা ঘর ,বিয়ের আগে ও যেখানে থাকতো সেটায় ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়।
অয়ন নিশ্চল হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে।একদিকে মায়ের চিন্তা মাথায় নিয়েও ও জ্বলতে থাকে ‘মেইল ইগো’ তে। এই ক’মাস মানি একা সংসার সামলাচ্ছে, ও বুঝেও হাত লাগায়নি। ওর মধ্যের অসন্তুষ্টি ওকে মানির প্রতি দিনদিন উদাসীন করেছে।এটা সত্যি বিয়ের আগের অয়ন মানির খারাপ লাগা নিয়ে ভাবতো, কিন্তু এখন সারাক্ষন ও ডুবে থাকে মানিনীর জেদ রাগের বিচারে।হয়তো মানিনীর জায়গায় নিজেকে নিয়ে গেলে বুঝতে পারতো ওর সিদ্ধান্ত ভুল ছিল না। সরকারি চাকরি করলেও সব সময় নিজের মর্জিতে চলা সম্ভব না।
কিন্তু একা সংসার সামলানো মানিনীর মানসিক দ্বন্দ্ব ওকে ছুঁতে পারেনি এই ক’মাসে। ও ভুলে গেছে মানিনী ওর ভালোবাসা ছিল।বদলে বারবার মনের মধ্যে একটাই কথা গুরুত্ব পেয়েছে,’মানিনীর জেদ’।অন্যান্য স্বামী স্ত্রীর মতই ভুল ত্রুটি খোঁজার নেশায় তাড়াতাড়ি হারিয়ে ফেলেছে ওরা একে অপরের প্রতি ভালোবাসা,সেখানে ইন্ধন জুগিয়েছে করোনা কালের অস্বাভাবিক জীবনযাত্রাও।ওই সময়ের হতাশা মানুষের মধ্যে যেসব নেগেটিভ গুণের জন্ম দিয়েছে দোষারোপ হয়তো তার মধ্যে অন্যতম,এক ছাদের তলায় দীর্ঘদিনের এক ঘেয়ে জীবন হয়তো মানুষের মধ্যে দুরত্বই বেশি বাড়িয়েছে।
ক্রমশ..