অন্তিম পর্ব:- নিজের ঘরটা গুচ্ছোছিলো অমৃতা। আর কদিন এখানে থাকবে জানেনা।পেয়ে গেছে ও সরকারী চাকরি,অপেক্ষা করছে জয়েনিং লেটারের। যেদিন রেজাল্ট আউট হলো ওর মনে হচ্ছিল ও বোধহয় কোনো ঘোরের মধ্যে…
দশম পর্ব:- “এটা কেন করলে? তুমি তো আমায় ভালোবাসো না।নিজের স্বার্থে আর আমার ওপর জোর ফলাতে বিয়ের নাটকটা করেছ,তাহলে আজকের এই নাটকটা কেন?” অমৃতা এই প্রথম এত চেঁচিয়ে কথা বলে…
নবম পর্ব:- অমৃতা চুপচাপ নিজের ঘরে বসে বসে ভাবছে শেষ প্রায় চারমাসে ওর জীবনটা কেমন যেন ওলটপালট হয়ে গেল। না সেদিন প্রিয়া দিদির কথায় ও রাজি হত,না এমন একটা অস্বাভাবিক…
“সৃজিত আপনি সার্জারির পরও হাঁটতে পারবেন কিনা শিওর না,তবে এখনকার অবস্থার থেকে বেটার ফিল করবেন।তবে সার্জারির পর কিন্তু কিছুদিন সাবধানে থাকতে হবে। তারপর ফিজিওথেরাপি,এক্সারসাইজ সমস্ত নিয়ম মেনে করলে হাঁটতে পারার…
“বোল্ট বোল্ট কাম হিয়ার…না দাদাভাই আমি সত্যি অমৃতা কে বিয়ে করেছি। রতন ভুলভাল কোনো খবর তোদের দেয়নি। মন্দিরে করেছি আর আইনতও রেজিস্ট্রি করবো,নোটিস দেওয়া হয় গেছে”, অনেকদিন পর বোল্টকে কাছে…
“পার্থ তুমি নিজেও জানো না তুমি কী বলছো? তুমি আমায় চেনো এক বছরের ওপর,আমাদের সম্পর্কের বয়সও প্রায় এক বছর ,সবটা জানো তুমি আমার ব্যাপারে,আমার প্রফেশনের ব্যাপারে।তাহলে? কত রাত আমি নাইট…
-“তোমার বাবা মা কেউ নেই?” -“না।” -“তাহলে তুমি প্রতি রবিবার ছুটি নিয়ে কোথায় যাও?” -“মানে? এটা কি একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার না?” -“হতে পারে ব্যক্তিগত।কিন্তু তুমি শুধু আমার এখানে চাকরি করছো…
“দাদাভাই তুই এই যাতায়াত করছিস তোর তো সব দিক দিয়ে চাপ পড়ছে বল। আমি বাড়ি আসার পর দুমাসে দুবার এলি,অফিসের চাপে বেশিদিন থাকতে পারছিস না…তুই জবটা ছেড়ে দে দাদাভাই।চল বাবার…
“কেমন আছেন সৃজিত? আজ আপনাকে ছেড়ে দেব। মাঝে প্রায় কুড়িদিন কেটে গেছে। তবে আমরা আশা করিনি আপনি এত তাড়াতাড়ি ডিসচার্জ পাওয়ার অবস্থায় আসবেন। আপনার মাথায় চোটটা যতটা মারাত্মক,তার চেয়েও বেশি…
“মিস্টার রজত রায়?” নার্সের ডাকে ওয়েটিং রুমের চেয়ার ছেড়ে এগিয়ে যাই রজত,”আপনাদের পেশেন্টের জ্ঞান এসেছে। ডক্টর বললেন ভয় কেটে গেছে।একজন গিয়ে জাস্ট দেখে আসুন।কিন্তু কথা বেশি বলবেন না”,নার্স অভ্যস্ত স্বরে…